ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মামুনুল হকের ধর্ষণ মামলা:  পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

মামুনুল হকের ধর্ষণ মামলা:  পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নবম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছিল হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ জনকে সমন দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।

দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সর্বশেষ ১৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছিল। সেদিন পর্যন্ত এ মামলায় মোট ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। মঙ্গলবার সমন পাওয়া ৫ জনের মধ্যে সোনারগাঁ থানার সাবেক এএসআই এনামুল হক ও বাদি ঝর্নার বাড়িওয়ালা মোশারফ হোসেন এই ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মঙ্গলবার মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণার বাড়িওয়ালা ও পুলিশ কর্মকর্তা ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মামুনুল হককে মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক আটকে রাখা হয়েছে। ন্যায় বিচার হলে তিনি বেকসুর খালাস পাবেন।

উল্লেখ, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

এ সময় ব্যাপক তান্ডব, অঅগ্নিসংযোগ, সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটায় মামুনুল হক পন্থিরা। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারিতে রাখে। এরপর গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে। পরে এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই সঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

মামলা,সাক্ষ্য গ্রহণ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত